কাঁধের মতো সঙ্গীর ঠোঁটও অনেকের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। নিদারুণ মনখারাপে কিংবা দারুণ খুশিতে, সঙ্গীর ঠোঁটে নিজের ওষ্ঠ সঁপে দেওয়ার মুহূর্ত যে অতুলীয়, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। নিয়ম করে ঠোঁটে ঠোঁটে রাখলে সম্পর্ক মধুর হয় তো বটেই।
তবে আপনি জানেন কি? চুমু খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে অনেকে। তেমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। শরীর ভালো রাখার দাওয়াই চুমুও। চুম্বনে লুকিয়ে আছে কী কী উপকার?
১ ) মানসিক চাপ কমে
চুমু খাওয়ার সময় মস্তিষ্কে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। কর্টিসল ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামেও পরিচিত। কর্টিসলের পরিবর্তে চুম্বনের সময় অক্সিটোসিন, সেরাটোনিন, ডোপামিনের মতো হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে।
মন, শরীর এবং মেজাজ ভালো রাখতে এই হরমোনগুলি কার্যকরী। ঠিক সেই কারণেই চুমু খাওয়ার সময় প্রশান্তিতে চোখ বুজে আসে।
২) শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বেড়ে যায় চুমু খেলে। কারণ চুম্বনের সময় রক্তনালীর মুখ প্রসারিত হয়। রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে নিয়মিত চুমু খাওয়া উপকারী।
৩) মুখের ব্যায়ামের জন্য চুমু খুব ভালো। চুম্বনের ফলে এক ধরনের ব্যায়ামও হয়ে যায়। চুমু খেলে প্রতি মিনিটে প্রায় ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। মুখের বাড়তি মেদ ঝরাতে ব্যায়ামের বিকল্প হতে পার চুম্বন।
৪) চুমু খেলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রক্ত সঞ্চালন সচল থাকলে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। কোলাজেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বক মসৃণ রাখতে চুমু খাওয়ার ভূমিকা আছে।
Leave a Reply