বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

পটুয়াখালীতে টোল এড়াতে বড় গাড়ি চলছে গ্রামীণ সড়কে, জনদুর্ভোগ

লেবুখালীর পায়রা সেতুতে ওয়েটস্কেল থাকায় অতিরিক্ত টোল এড়াতে মালবাহী বড় বড় ট্রাকসহ অতিরিক্ত ভারী যানবাহনগুলো মির্জাগঞ্জ-পটুয়াখালী গ্রামীণ সড়ক হয়ে পায়রা ফেরি পার করে ঢুকছে জেলা শহরে। এছাড়াও চলাচল করছে ইটভাটার মাল বহনকারী বড়-ছোট ট্রলি, ট্রাক্টর। এতে সংস্কারের এক বছর পার হতে না হতেই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।

মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের গ্রামীণ সড়ক। লেবুখালীর পায়রা সেতুতে ওয়েটস্কেল থাকায় অতিরিক্ত টোল এড়াতে মালবাহী বড় বড় ট্রাকসহ অতিরিক্ত ভারী যানবাহনগুলো মির্জাগঞ্জ-পটুয়াখালী গ্রামীণ সড়ক হয়ে পায়রা ফেরি পার করে ঢুকছে জেলা শহরে। এছাড়াও চলাচল করছে ইটভাটার মাল বহনকারী বড়-ছোট ট্রলি, ট্রাক্টর।

এতে সংস্কারের এক বছর পার হতে না হতেই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ফলে চলাচল করতে গিয়ে অটোবাইক, ইজিবাইক, রিকশা ও মোটরসাইকেলহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো আটকে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীসহ অঞ্চলটির স্থানীয় বাসিন্দারা। খানাখন্দ আর ধুলোয় মাখামাখি হওয়ায় এ সড়কগুলোতে হেঁটে চলাই এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

উপজেলার হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা সাহেব (রহ.) এর ব্রিজের ঢাল থেকে পটুয়াখালী চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের এই বেহালদশা। নিয়মানুসারে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ৮ দশমিক ২ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এই রাস্তা দিয়ে যেসব মালবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর চলাচল করে সেগুলো পণ্য ছাড়াই একেকটির ওজন ৭ টনেরও বেশি। অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ফলে এই সড়কের বেহালদশা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত মালবাহী গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গেছে। ধুলাবালির জন্য রাস্তায় চলাচল করতে পারি না। প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের।

মির্জাগঞ্জের ছোবাহান গোলদার বলেন, প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনগণের সুবিধার্থে আমরা চাই নির্ধারিত ওজন নিয়ে যেন এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ মাসের সমন্বয় সভায়ও এই বিষয়টি উপস্থাপন করব। রাস্তাটির অবস্থা খুবই বেহাল। যেহেতু এই সড়কটি সড়ক ও জনপদের, তাই তাদের পক্ষ থেকে যদি ওয়েট স্কেলের ব্যবস্থা করে, তাহলে আমাদের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সুবিধা হবে।

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার লিমন বলেন, রাস্তাটি সুন্দরভাবে সংস্কার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ওয়েট স্কেলের বিষয়টি অনেক সময়সাপেক্ষ। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করতে হয়। তাছাড়া এসব যন্ত্রপাতি আমাদের দেশে খুবই কম। আপাতত গাড়িগুলো যেন ওই রাস্তা দিয়ে না যেতে পারে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ভালো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *