বাউফল পৌর শহরের সড়কগুলোতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি হলেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। প্রতিদিন সড়কগুলোতে গাড়ি থামিয়ে সর্বনিম্ন ২০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫শ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আর এই চাঁদার ভাগ চলে যায় প্রশাসনের পকেটে যে কারণে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ থাকার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাউফল পৌর শহরের কাগুজীপুল এলাকায় বাসস্ট্যান্ড ছাড়া সরকারী ভাবে আর কোন ইজারা দেয়া হয়নি। অথচ বাউফল-বাগা হাইওয়ে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। হানিফ নামের এক ব্যক্তি হাইওয়ে সড়কে চলাচলকারী বাস, ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান থেকে চাঁদা নিচ্ছে। বাস ও ট্রাক থেকে ৫শ, মিনিট্রাক ও কাভার্ডভ্যান থেকে ২শ টাকা করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও টেম্পুস্ট্যান্ডের কোন ইজারা না দেয়া হলেও পাবলিক মাঠের বটতলা, বাংলাবাজার, গালর্সস্কুলের দক্ষিণ মাথায় ও গোলাবাড়ি বেইলী ব্রিজের কাছে ব্যাটারিচালিত অটো ও টেম্পু থেকে ১০-২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে এসব স্পট থেকে ছাত্রলীগের নামে চাঁদা আদায় করা হতো। এখন তারাই ভোলপাল্টে চাঁদা আদায় করছে। ওই সময় হানিফ নামের এক ব্যক্তি হাইওয়ে সড়কে পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করতো, সেই হানিফ বর্তমানেও চাঁদা আদায় করছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। সে অনুযায়ি মাসে ৬-৭ লাখ টাকা চাঁদা নেয়া হয়। আর বছরে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা নেয়া হয়। বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই এই চাঁদা নেয়া হচ্ছে। আর এই চাঁদার টাকার ভাগ চলে যায় রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পকেট পর্যন্ত। যে কারণে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ দেয়া সত্যও এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রশাসক আমনিুল ইসলামকে তার সরকারী নম্বরে ফোন দিলে তিনি তিনি রিসিভ করেননি। পরে তাকে ওই নম্বরের হোয়াটঅ্যাপ নম্বরে কল দেয়া হলে তিনি কেটে দেন। এরপর হোটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও তিনি কোন বক্তব্য দেনননি।
এ ব্যাপারে বাউফল পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইনুল হক বলেন, “ পৌরসভা থেকে কেবল কাগুজিপুল বাসস্ট্যান্ড আর একটি বাজার ছাড়া আর কোন ইজারা দেয়া হয়নি। তাই অন্য কোন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে টাকা নেয়া সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর আমি বাসস্ট্যান্ডের ইজারাদার আলম সিকদারকে নিষেধ করেছি, তারা যেন বাসস্ট্যান্ডের বাইরে কোন যায়গা থেকে টোল আদায় না করে তারপরেও যেহেতু গাড়ি থামিয়ে টাকা নিচ্ছে, আমি বিষয়টি দেখছি কিকরা যায়।”
Leave a Reply