বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

বাউফল বিএনপির ক্যারিশমাটিক নেতা সামুয়েল আহমেদ লেনিন

বাউফল প্রতিদিন ডট কম নিউজ ডেস্ক:

বাউফল উপজেলা বিএনপির তারুণ্যের নেতা হিসেবে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন উপজেলা বিএনপির কনিষ্ট যুগ্ম আহ্বায়ক সামুয়েল আহমেদ লেনিন।

নিজের নেতৃত্ব আর সাংগঠনিক দক্ষতায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে ক্যারিশমাটিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন জাতীয়তাবাদের নেতা লেনিন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বাউফল প্রতিদিন ডট কম অনলাইন পত্রিকাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে লেনিন বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের প্রত্যেকটি গুম ও খুনের বিচার করতে হবে। বিচার না হলে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।

বিএনপির এই তরুণ তু্র্কি বলেন- সংস্কার হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে জেনারেশনের পরিবর্তনে সংস্কারের বিষয়টাও চলমান থাকে। আমরা সবসময়ই সংস্কারের পক্ষে। ছাত্র জনতা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রত্যাশা এই সংস্কার। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বারবার বলছেন সংস্কার যেহেতু একটি চলমান প্রক্রিয়া সেক্ষেত্রে মৌলিক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে এই সংস্কারের চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে, এই সংস্কারের চলমান ধারাকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে।

জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা সম্পূর্ণরূপে পূরণ হয়নি। এখনো ফ্যাসিস্ট এবং তার দোসরদের ষড়যন্ত্র চলমান আছে, দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজনীতা আমরা অনুভব করছি। এজন্য মৌলিক কিছু সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি নির্বাচন আমরা দাবি করছি।

এ সময় তিনি তার পিতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম সৈয়দ আহমেদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার বাবা প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন, বাউফল সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন।

একটি বিষয় খেয়াল করবেন, আমার বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদত বরণ পর্যন্ত খুবই স্বল্পকালীন সময়ে চেষ্টা করেছেন বিএনপিকে সুসংগঠিত করার জন্য। একটি নতুন দল, হাতে খুব অল্প সময় তারপরও চেষ্টা করেছেন। এরপরই স্বৈরশাসক হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের সুদীর্ঘ ১০ বছরের শাসন, কারাবরণ সব মিলিয়ে আমি মনে করি যতটুকু সময় রাজনীতি করার জন্য পেয়েছেন বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন।

সামুয়েল আহমেদ লেনিন ইংরেজিতে অনার্স এবং এমবিএ শেষ করেই বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য মরহুম ডক্টর আর এ গনির এপিএস হিসাবে কাজ করেন এবং ২০১৬ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত সাথে ছিলেন। এর মাঝে ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসের সামনে থেকে ডঃ আর এ গনিসহ গ্রেপ্তার হন। ডক্টর গনি মারা মারা যাওয়ার পর তিনি জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্যা বেগম সেলিমা রহমানের সাথে কিছু সময় কাজ করেন।

পতিত হাসিনার আমলে হওয়া অবৈধ উপজেলা নির্বাচনের সময় তার বাড়ির গেটে “ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না” শ্লোগান সেটে দিয়ে সারা বাংলাদেশে ভাইরাল হয়েছেন।

ছাত্র-জনতা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়েছেন, ২০ দিন জেলে ছিলেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী বিএনপির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *