জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, “জুলাই বিপ্লব না হলে এদেশ থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতারিত করা যেতনা। আর এই ফেস্টি হাসিনা অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আর যারা আহত হয়েছেন, আমি তাদের দ্রুত সুস্থতা কামানা করছি।
আর এই আন্দোলন করতে গিয়ে পটুয়াখালী জেলায় ১৪ জন শহীদ হয়েছে। তার মধ্যে ৬জন আমার এই বাউফলের সন্তান। বাউফলের মানুষ যে যেখানে যে অবস্থায় ছিলেন সেখানে থেকেই জুলাই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন আমি তাদের প্রতি নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আজ শুক্রবার(২৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় বাউফল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই বিপ্লবে শহীদ, আহত যোদ্ধা ও সাংবাদিকদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রধান অতিথি মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসাসনের কারণে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হয়েছেন। ১৯৮২ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হন। এরপর জাতীয় পার্টি নামের আরেকটি দলের জন্ম হয়। এই দলটি সব সময়ই ফ্যাসিস্ট হাসিনার চামচামি করতেন। এখন এই দলটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। জনগণের সাথে যারা জুলুম করবেন তাদের পরিণতি হাসিনারমতই হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ১০ টাকা কেজি চাল দেয়ার ওয়াদা দিয়ে ক্ষমতায় এসে জনগণের সাথে প্রত্যারণা করেছেন। হাসিনা সরকারের লুটপাটের কারণে দেশে যখন অস্থিরতা দেখা দেয় তখন ছাত্রজনতা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রজনতার প্রতিরোধে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। আর এই বিপ্লবে ব্যর্থ হলে আমাদের একজনকেও জীবিত রাখা হতো না।
তিনি আরও বলেন আমাদের জাতীয় নাগরিক পার্টির সব জায়গায় কমিটি হয়নি। ঈদের পর আমরা বাউফলের একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিব। তিনি সম্প্রতি বাউফলে খুন, লুটপাট ও ধর্ষণেরমত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাউফল থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অপরাধী যে দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এ ভাবে চলতে থাকলে এই বাউফলের শান্তি বিনষ্ট হবে। আমরা এই বাউফলে কোন তরমুজ লুটেরা ও ধর্ষনকারীকে দেখতে চাইনা।
মুজাহহিদুল ইসলাম শাহিন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের কোন সদস্যকে কেউ হয়রানি করলে তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।
তিনি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা কোন দুর্বৃত্তকে দলে আশ্রয় দিয়েননা। কারণ তারা অপকর্ম করলে তার দায় দলকেই বহন করতে হবে।
অধ্যাপক আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, শহীদ মেহেদি হাসানের বাবা মোশারেফ হোসেন। ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অহিদুজ্জামান সুপন, বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপিত ও দৈনিক জনকণ্ঠের নিজস্ব সংবাদদাতা কামরুজ্জামান বাচ্চু, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি জলিলুর রহমান, বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান । অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদুল ইসলামের শ্বশুর মোঃ হারুন । অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন, মোঃ মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদের উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply