বাউফল প্রতিদিন ডেস্ক :
“গাছ সুরক্ষায় পেরেক উত্তোলন “এই শ্লোগান নিয়ে বাউফলে গাছ থেকে পেরেক উত্তোলন দিবস পালনের নামে তামাশা করা হয়েছে। পেরেক উত্তোলনের নামে গাছে পেরেক ডুকিয়ে আবার উত্তোলন করা হয়েছে।
বাউফলে ইউএনও এই পেরেক উত্তোলনের কাজটি করেছেন। এরপর ফটোশেসন করে কর্মসূচির সম্পাত্তি ঘোষনা করেন।
এরপর কোন গাছ থেকেই আর পেরেক উত্তোলন করা হয়নি। এ নিয়ে অশন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে আজ সকাল ১০টায় গাছ সুরক্ষায় পেরেক উত্তোলনের কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও বন কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ সহ সরকারি কর্মকর্তারা।
তারা একটি ব্যানার হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পরিষদ এলাকায় দাঁড়িয়ে থেকে ফটোসেশন করেই শেষ করেন কর্মসূচী। ফটোসেশনের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি গাছের পেরেক উত্তোলন করে চলে যান। ওই পেরেকটি আগেই গাছে ডুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপরই ফটোসেশনে অংশ নেওয়া পর সবাই একে একে চলে যান।
দুপুর ১২টা দিকে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে প্রতিটি গাছে পেরেক দিয়ে টানানো সাইনবোর্ড দেখে ছবি তোলেন।
ইমরান হোসেন নামের এক ব্যাক্তি বলেন, লোকদেখানো কর্মসূচী করেই চলে যান ইউএনও। গাছের সুরক্ষায় মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে র্যালী নিয়ে শহরেও যাননি তিনি। অন্তত একটি র্যালী শহর প্রদক্ষিণ করলে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হতো। ফটোসেশন করে কি লাভ হলো? উপজেলা চত্বরের প্রত্যেকটি গাছেইতো পেরেক থেকে গেল। এবিষয়টি জানাজানি হলে সচেতন মহলে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
গাছে পেরেক ডুকিয়ে সেই পেরেক তুলে কর্মসূচির উদ্বোধন এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা বন কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, যে ছেলেটিকে পেরেক উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সে বুঝতে পারেননি। পরিষদ এলাকায় গাছগাছালিতে পেরেক দিয়ে সাটানো সাইনবোর্ড খুব শিগগিরই উত্তোলন করা হবে।
Leave a Reply