বাউফলে পৌরসভা থেকে পরিচয়পত্র নিতে হলে ৩শ টাকা করে দিতে হয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশেরন্যায় বাউফল পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিরদের অপসরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রশাসক ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তাদের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।
কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে পৌর নাগরিকরা তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদেরকে পরিচয়পত্র নিতে টাকা গুনতে হচ্ছে। একটি পরিচয়পত্র নিতে জনপ্রতি দিতে হচ্ছে ৩শ’টাকা করে।
অথচ তারা আগে বিনামূল্যে এই সেবাটি পেত। বর্তমানে তা কিনে নিতে হচ্ছে। ফলে জনমনে ক্ষোভ বেড়েছে। তারা সরকারি এই সেবা পেতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে কেউ কেউ।
বিশেষ করে পৌর এলাকায় গরীব মানুষ ভোগান্তীর শিকার বেশি হচ্ছেন।
বাউফল পৌরসভায় মোট ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। তাদের প্রয়োজনে পৌরসভা থেকে পরিচয়পত্র নিতে হয়।
আগে পৌর নাগরিকরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে গেলেই পরিচয়পত্র মিলত। কিন্তু এখন সেই পরিচয়পত্র ইচ্ছে করলেই তারা পাচ্ছেননা।
পরিচয়পত্রের জন্য তাদের দিনের পর দিন পৌরসভা কর্যালয়ে ঘুরতে হচ্ছে।
পরিচয়পত্রে প্রশাসকের (ইউএনওর) স্বাক্ষর ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর লাগে। আর এই স্বাক্ষরের জন্য কয়েকদফায় তাদের পৌরসভায় যেতে হয়। তারপর ৩শ টাকা নগদ প্রদান করে পরিচয়পত্র নিতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, টাকা দিয়ে পরিচয়পত্র নিলেও নামের বানানে অনেক ভুল থেকে যায়। সেই ভুল কারেকশন করতে গিয়ে আবার টাকা গুনতে হচ্ছে।
এরকম একটা ভুলে ভড়া পরিচয়পত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সংবাদকর্মী পোস্ট করে লিখেন, তিনশ টাকা নেন, ভালো কথা, অন্তত বানানটা ঠিক করে দেন।
একই জটিলতা জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রেও। মাসের পর মাস ঘুরে জন্ম নিবন্ধ করা যাচ্ছেনা। আবার জন্ম নিবন্ধনে ভুল হলে কারেকশনের জন্য ডিডিএলজির অনুমোদন লাগে। এসব মিলিয়ে পৌর নাগরিকরা ভোগান্তীর শিকার হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাকা দিয়ে পরিচয়পত্র নেয়ার বিষয়ে সরকারের কোন নির্দেশনা নেই।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রশাসক আমিনুল ইসলাম পরিচয়পত্র প্রদানে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পৌরসভার আয় বাড়াতে এবং কর্মকর্তা –কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধের জন্যই রেজুলিশন করে টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply