বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

বাউফলে বন্ধের দিনে অফিসে এসে ঘুষ লেনদেন; হাতেনাতে ধরা!

প্রকাশ্য ঘুষ নেয়া নিয়মে পরিনত হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। গত জুনে প্রকাশ্য ঘুষ নেয়ার ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচার হলে উপ-খাদ্য পরিদর্শক রফিকুল ইসলামকে গলাচিপা উপজেলায় বদলী করা হয়। শাস্তি এতোটুকুই।

একই মাসে ক্যামেরার সামনে সাংবাদিক নেতাকে সংবাদ বন্ধের জন্য ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে। তবে তাকে বদলীর মত লঘু শাস্তিও পেতে হয়নি। এবার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সরকারিভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২৭ডিসেম্বর) রাতে অফিস সহায়কের ঘুষ গ্রহণের চিত্র ধরা পড়েছে একটি টেলিভিশনের ক্যামেরায়।

ইদ্রুকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শারিরীক চর্চা শিক্ষক মুসাব্বির আপেলকে বেনামে ফেয়ার কার্ড ডিলারশীপ দিতে গুনে গুনে ঘুষ গ্রহণ করছিলেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জামাল হোসেন।

ছুটির দিনে অফিস কক্ষে ঘুষ লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে নিউজ প্রচার না করে অফিসে দেখা করা অনুরোধ জানায় সাংবাদিককে এবং বর্তমানে ফেয়ার কার্ড ডিলারশীপের তালিকার কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, পূর্বের ঘুষ দেয়া নেয়ার দুই ঘটনাই অফিসিয়ালি তদন্ত হয়েছে, তবে তদন্ত রিপোর্ট আমি পাইনি৷ গতকাল যে বিষয় বললেন সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *