বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

বাউফলে লুটতরাজ:  বিএনপি নেতা এনায়েতকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ

বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত হোসেন খান।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত হোসেন খানকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল জব্বার মৃধা ও সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এনায়েত হোসেন খান দলের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে কেনো সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে আগামিকাল শুক্রবারের (১৫ নভেম্বর) মধ্যে তাঁকে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে এনায়েত হোসেন খানকে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে শাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও থেমে নেই এনায়েত ও তাঁর ছেলে সাইফুল।

অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা এনায়েত খান ও তার  ছেলে সাইফুল অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। নিমদী খেয়াঘাটের ইজারাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ রয়েছে। বাংলাবাজার অটোগাড়ির ষ্ট্যান্ডের ইজারাদার হলেন কামাল হোসেন। গত ৫ আগষ্টের পর ওই ষ্ট্যান্ড দখলে নিয়ে নিয়মিত টোল নিচ্ছেন সাইফুল। সরেজমিনে ষ্ট্যান্ড দখলে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন খান বলেন,‘তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিতভাবে জবাব দিয়েছেন। তিনি ও তাঁর ছেলে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত না।’ নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ঠিকাদার এলাকায় নাই। তাই কাজ বন্ধ রয়েছে, কেউ বন্ধ করেনি।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তিনি ইজারাদার না। ফিরোজ (উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব) ভাইর সঙ্গে আলোচনা করে দলীয়ভাবে খাজনা নেওয়া হচ্ছে।

তবে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) বলেন,‘তিনি কাউকে ষ্ট্যান্ড দখল করে খাজনা নিতে বলেননি। এটা একদম মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *