বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়নে আগামী ২ নভেম্বর রোজ শনিবার ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়নসহ উপজেলায় বইছে উৎসবের আমেজ। কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ? কখন আসবে নেতা? এমন প্রতিক্ষায় রয়েছে উপজেলাবাসী।
কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের এই অনুষ্ঠান নিয়ে সবার জল্পনা কল্পনা চরমে। তবে ড.মাসুদের জনপ্রিয়তার কাছে স্কুল মাঠটি খুবই ছোট, এত এত জনগণের তিল ঠাই মিলবে কিনা সেই সন্দেহ প্রকাশও করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, একটা বড় মাঠ হলে সমাবেশের উপযুক্ত হতে পারতো।
তারা আরো বলছেন, সমাবেশ স্থল আরো হওয়া উচিত ছিলো। কেননা ব্যক্তি ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ একজন আইকনিক ব্রান্ড। বাউফলের নয়, সারাদেশের মানুষের আইডল। তাকে সবাই এক নজর দেখতে এবং তার জাদুমাখা কন্ঠের জ্বালাময়ি বক্তব্য শুনতে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজারো মানুষ।
কনকদিয়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ কেরামত আলী বলেন, আমি কোনো দল করিনা। তবে ২ নভেম্বর জামায়াতের বড় নেতা আমাদের ঘরের কাছে আসবে সেটা দেখতে সমাবেশে যাবো। আমার প্রতিবেশিরাও যাবে। তার ইসলামীক আলোচনার ভক্ত আমরা। মাসুদকে আমরা ভালোপাই। তার জন্য দোয়া করি সব সময়।
কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী আয়েশা, খাদিজা, স্বপ্না, এবং ইরফান, রহিম, সিদ্দিক বলেন, আমাদের স্কুল মাঠে এত বড় মাপের একজন সেলিব্রিটি আসবে আমরা তাকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে বরণ করতে চাই। তাকে এক নজর দেখতে চাই। ড. মাসুদ আমাদের উপজেলার গৌরব।
এছাড়া সূর্যমণি, কাছিপাড়া, কেশবপুর, কালিশুরি এবং বগার অসংখ্য মানুষ ২ নভেম্বরের সমাবেশে উপস্থিত থাকবে বলে জানা গেছে। এসব এলাকা ঘুরে ঘুরে মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ড. মাসুদের কথা শোনার জন্য মুখিয়ে আছেন। এক পলক দেখার জন্য ছটফট করছেন। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাচ্ছেন।
বগা ইউনিয়নের বৃদ্ধ মালেক শরিফ বলেন, কনকদিয়ায় দাড়ানোর জায়গা হবে না। কারণ ড. মাসুদের জনপ্রিয়তা। তার জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, তাকে দেখতে ও শুনতে আশেপাশের ইউনিয়ন তো আছেই আশেপাশের জেলার মানুষজনও দৌড়ে সমাবেশ স্থলে আসবে। এটা নতুন নয়। এমন অনেক উদাহরণ আছে।
Leave a Reply