বাউফলে শিশু ধর্ষণের ১৮ দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি মতসজীবী দলের সদ্য বহিস্কৃত নেতা আনোয়ার। এ নিয়ে উপজেলাবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোনো সময় পরিস্থিতি অস্থিতীশিল হতে পারে এমন শংকাও দেখা দিয়েছে।
এগারো বছরের এই শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ১১ অক্টোবর বাউফল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে শিশুটির বাবা।
বাউফলের মদনপুর ইউনিয়নের মধ্যমদনপুর গ্রামে চতুর্থ শ্রণি পড়ুয়া এক শিশুকে যৌন হয়রানির মামলায় আসামী আনোয়ার হাওলাদারকে (৪০) ১৮ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এগারো বছরের এই শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ১১ অক্টোবর বাউফল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে শিশুটির বাবা।
অভিযুক্ত আনোয়াকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসি বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
যৌন নিপারনকারী আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও বাউফল থানার ওসিকে স্মারকলিপিও প্রদান করে। তার পরেও টনক নড়েনি বাউফল থানা পুলিশের।
অভিযুক্ত আনোয়ার হাওলাদারকে মৎস্যজীবীদলের মদনপুরা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিল। এ ঘটনার পর ওই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আনোয়ার রাজনীতির পাশাপাশি মুদি ব্যবসা করেন৷ পন্য ক্রয়ের জন্য প্রায়ই তার দোকানে যেত ভুক্তভোগী শিশু।
এই সুযোগে প্রায়ই নানা ভাবে ওই শিশুকে যৌন নির্যাতন করতো আনোয়ার। কাউকে না জানাতে দেখানো হতো ভয়ভীতি।
সম্প্রতি ভুক্তভোগী শিশু মানসিক ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এর আগেও তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা বাউফল প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে গ্রেফতার হয়েছিলো অভিযুক্ত আনোয়ার হাওলাদার।
বাউফল থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন বলেন, অভিযুক্ত আনোয়ার বারবার নিজ অবস্থান পরিবর্তন করছে। তিনি পুলিশের নজরদারিতেই আছেন। অতিদ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
Leave a Reply