এনামুল হক অপু:
প্রিয় কেশবপুরবাসী আসসালামুআলাইকুম।
আপনারা সবাই জানেন আমার ছেলে মেয়ে জন্মসূত্রে ফ্রান্সের নাগরিক। জুলাই ও আগস্ট দুই মাস স্কুল বন্ধ থাকে তাই বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছে। ৫ আগস্ট রাতে আমার কাছে বিভিন্নভাবে একের পর এক হুমকি আসতে থাকে। ছেলে ও মেয়ের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে আমি বাড়ি থেকে সরে যাই এবং ছেলে মেয়েকে অন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। ১৭ আগস্ট আমি বাড়িতে গেলে আমার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। কি অপরাধ আমার বা আমার পরিবারের? বিগত ১৬ বছর আমি বা আমার পরিবারের কেউ কি কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে?
আমার অপরাধ আমি ফ্রান্সের সুন্দর একটা জীবন কাটানোকে রেখে কেশবপুরের মানুষের সেবা করতে এসেছি?আমার অপরাধ কেশবপুরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৪৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আমার অপরাধ আপনাদেরকে শান্তিতে রাখার জন্য চোর ডাকাত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সাথে আপস করি নাই। তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল জিরো টলারেন্স। আমার অপরাধ দীর্ঘদিন অবহেলিত কেশবপুরকে পরিকল্পিতভাবে ( সল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী) উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়া। আমি একজনের কাছে জানতে চাইলাম আমি কার কি ক্ষতি করেছি সে উত্তর দিল আপনার দ্বাড়া কারো কোন ক্ষতি হয় নাই। আপনার অপরাধ শুধু একটা আপনি আ স ম ফিরোজ সাহেবের আত্মীয়। বিগত ১৫ বছর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শীকার হয়েছি। এখনও হয়রানির শীকার হচ্ছি। তাহলে কি ভদ্র রাজনীতির কোন মূল্য নাই? সাধারণ জনগনের অধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কি অপরাধ?
প্রিয় কেশবপুরবাসী আমার মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে গত ১৪ অক্টোবর আমি বাড়িতে যাই ১৫ অক্টোবর বিকাল ৫ঃ২০ মিনিটের সময় তিনজন লোক আমার ঘরে ঢুকে হুমকি দিয়ে বলে দাদা আপনাকে সন্ধ্যার মধ্যে চলে যাইতে বলেছে। আরো অনেক ….. লিখলাম না। সেই একই ব্যক্তি রাত আনুমানিক ০৮ঃ০০ সময় আমার এক কর্মীকে ফোন করে আমাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে না হলে হত্যা করার হুমকি দেয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাকে দুরে সরিয়ে রেখে কেশবপুর ইউনিয়নে আবার চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা ও প্রতি রাতেই চুরি ডাকাতি হচ্ছে। আমি আগেও বলছি এখন বলতেছি চোর/ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী কোন দলের না। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে ঐ দলের দুইএকজন অসৎ/নস্ট ব্যক্তির আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে এ সকল অপকর্ম করে বেড়ায়। একটা কথা মনে রাখবেন কেউ অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। ঐ সমস্ত নস্ট ব্যক্তিরা নিজের প্রয়োজনে অপরাধী তৈরি করে এবং তার তৈরি করা অপরাধীদের কাছ থেকে পার্সেনটিস নিয়ে নিজের পকেট ভর্তি করে। সুতরাং যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত শুধু তাদের চিনলেই হবে না, যে বা যারা অপরাধী তৈরি করে তাঁদেরকেও চিনতে হবে। এখন প্রশ্ন কেন আমি এই কথাগুলো লিখলাম? আমার লেখার উদ্দেশ্য হলো আমি বা আমার পরিবারের কারো কোন ক্ষতি হলে কে বা কারা দায়ী থাকবে সেটা জানানোর জন্য।
পরিশেষে বাউফল উপজেলা প্রসাশন, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো দলীয় বিবেচনায় নয় অপরাধীদেরকে তদন্ত সাপেক্ষ আইনের আওতায় নিয়ে কেশবপুর ইউনিয়নের সাধারন জনগনের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
বিদ্রঃ প্রিয় কেশবপুরবাসী আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিয়েন কারন আপনারা শান্তিতে থাকার জন্যই বিপুল পরিমান ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার জন্য মনোনিত করেছিলেন। যেখানে আমার নিজের নিরাপত্তা নেই সেখানে আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো কিভাবে?
Leave a Reply