বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

বাউফলের জাফরাবাদ-ভরিপাশা সড়কের বেহাল দশা: জনদুর্ভোগ চরমে

মশিউর রহমান (স্টাফ রিপোর্টার) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জাফরাবাদ গ্রামের প্রধান সড়কটিতে হাটু সমান কাদা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিন শত শত লোকের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। অথচ যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়- জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ভরিপাশার হাজিরহাট পর্যন্ত প্রায় ১.৫ থেকে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগী নিয়ে হাটু সমান কাদার রাস্তা মারিয়ে যেতে হয় স্কুলে কিংবা হাসপাতালে। এতে দুর্ভোগ পৌছেছে চরমে।

স্থানীয়রা বলছেন- এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মমিনপুর, জাফরাবাদ এবং পূর্ব ভরিপাশার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মমিনপুর রজ্জবিয়া দাখিল মাদরাসা, বাজেমহল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভরিপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত এই বেহাল রাস্তা পেরিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়।

এছাড়াও এলাকার কৃষিজীবী ও সাধারণ মানুষ তাদের হাটবাজার এবং ক্ষেত-খামারে যেতে এই রাস্তার ওপরই নির্ভরশীল। বছরের পর বছর তারা এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পেতে দাবি জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে এখনও এই এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখছেন নিশ্চই তাদের এই সড়কের ভোগান্তি শিঘ্রই দূর হবে।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়েছে, যা সামান্য বৃষ্টিতেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে পথচারী, বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং অসুস্থ রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায়শই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে এবং জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

এই বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। চাকরিজীবী মোঃ জোবায়ের হাসান (৩১) বলেন, “প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে পারি না, কাপড়চোপড় নোংরা হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।”

কেশবপুর কলেজের প্রভাষক মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪৪) এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে খুবই কষ্ট হয়। বর্ষাকালে রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়। দ্রুত এই রাস্তার সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ বাদল (৪৬) জানান, “ব্যবসার কাজে প্রতিনিয়ত আমাদের মালামাল পরিবহন করতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়, ফলে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হচ্ছে। ক্রেতারাও ঠিকমতো আসতে চায় না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *