গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েল বাহিনীর পক্ষ থেকে এমনটা দাবি করা হয়। খবর রয়টার্স
সিনওয়ারকে হত্যা ইসরায়েলের বড় একটি সাফল্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাকে হত্যার পর গাজা যুদ্ধ নিয়ে পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেবে ইসরায়েল, এমন একাধিক প্রেক্ষপট সামনে এসেছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ চলবে।
ইসরায়েল সামারিক বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় এক অভিযানে সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়। তবে তার দেহ শনাক্ত করার পর নিশ্চিত করা যাবে সে হত্যা হয়েছে কিনা।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যা নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি হামাস। তবে সশস্ত্র সংগঠন হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হালায় সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারকে হত্যার পর হামাসের কাছে জিম্মি থাকাদের মুক্তি নিয়ে আশার আলো দেখছে পরিবারগুলো। তারা ধারণা করছেন, দ্রুতই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তাদের কাছে থাকা জিম্মিরা ফিরতে পারবে।
গাজায় গত এক বছর ধরে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় জিম্মিদের পরিবারগুলো এখনও আশায় বুক বেঁধে আছেন স্বজনদের ফেরা নিয়ে।
সিনওয়ার হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জেরুজালেমে বসে নেতানিয়াহু বলেন, তার হত্যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ভূমিকা রাখবে। তবে গাজায় যুদ্ধ এখই শেষ হচ্ছে না। জিম্মিদের না ফেরানো পর্যন্ত সেখানে হামলা চলবে।
নেতানিয়াহু বলেন, আজ আমরা স্কোর নির্ধারণ করেছি, আজ শয়তানের মোকাবিলা করা হয়েছে। তবে আমাদের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।
ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘জিম্মিদের পরিবারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যুদ্ধে এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আপনাদের ভালোবাসার মানুষটি বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত আমরা সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে সেখানে হামলা অব্যাহত রাখব।’
ইরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটি সেনাবাহিনী এবং ইসরায়েলের জন্য একটি নৈতিক অর্জন।’
এদিকে সিনওয়ারের মৃত্যু ইসরায়েলিদের জন্য স্বস্তির মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে এবং এ যুদ্ধ শেষ করতে দ্রুতই নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সিনওয়ারের মৃত্যুতে ন্যায় বিচার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
Leave a Reply