বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

নিজের প্রশংসা বা মনের সব কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না: মধুমিতা

দেবযানীর চরিত্রে মধুমিতা সরকারকে দেখা যাবে তাঁর আগামী ছবি ‘ফেলুবক্সী’-তে। ছবির গল্প অনুযায়ী দেবযানীর চিরকালীন ক্রাশ ফেলু। দু’জনের বন্ডিংটা দারুণ। ‘আমার চরিত্রটা দেখলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে শুধু সাজগোজের কথা ভাবে, বাবলি, চার্পি একটা ক্যারেক্টর। কিন্তু আদতে সে মাথা ঘামায় ফেলুর কেসগুলোকে নিয়ে। ফেলুকে দেখেও মনে হয় সে খেতে ভালোবাসে, মজার মানুষ। কিন্তু আদতে সেও নিজের কাজের ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস। তারা বাইরে থেকে এক রকম আবার ভিতর থেকে আলাদা,’ বলছেন মধুমিতা।

চরিত্রটা করার সময়ে নিজের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পেয়েছিলেন কি?

মধুমিতার জবাব, ‘আমি নিজের প্রশংসা করতে পারি না। নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে পারি না। খুব কাজ করছি, দারুণ কিছু করছি, এটা দেখাতে পারি না। এটাই সব থেকে বড় মিল আমার সঙ্গে দেবযানীর। এ ভাবেই আমি চরিত্রটার সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছি।’

পরিচালক দেবরাজ সিনহার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

‘দেবরাজদা খুবই মাই ডিয়ার মানুষ। কোনও প্রেশার দেন না। আমাকে তো প্রথম দু’-তিন দিন উনি কিছুই বলেননি। তার পর একদিন বলেন আরও এনার্জি দিয়ে দৃশ্যটায় অভিনয় করতে। ‘ফেলুবক্সী’ ছবিটার নাম যখন শুনেছিলাম দারুণ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। আমার বন্ধুরাও উৎসাহ পেয়েছেন নামটা শুনে’, বললেন অভিনেত্রী।

একটা সময়ে মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, এখন কেমন ফোটোশুট আকর্ষণ করে?

উত্তরে মধুমিতা বলছেন, ‘এখন এমন ফোটোশুট করতে চাই যা মিনিংফুল। কারণ সব ধরনের লুকে নিজেকে দেখা হয়ে গিয়েছে। তাই ফোটোশুটে কেউ যেন পাখি বা ইমনকে না খোঁজেন। তাঁরা যেন মধুমিতাকেই দেখতে পান সেই চেষ্টা করি। অনেকেই মনে করেন রিভিলিং পোশাক পরা বা নিজের একটা স্টেটমেন্ট প্রতিষ্ঠা করাই হয়তো আমাদের প্রাথমিক পছন্দ। আমি বলব এমন ফোটোশুট করতে চাই, যা হিউম্যান বিয়িং হিসেবে আমাকে উন্নত করে। শুধুমাত্র ফ্যাশনের দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরোটা দেখতে চাই না।’

এই সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *