আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে থাকা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের চিহ্নিত নেতারা এলাকায় ফিরছেন।বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সাথে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে তারা ফিরে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি ফিরে আওয়ামী লীগের এইসব পদধারী নেতারা বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক ফেলে দিয়েছে। কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের এমন কয়েকজন নেতার বিএনপিতে যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইউনিয়ন কৃষলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন তুহিন, আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ফকরুল ইসলাম ফোরকান, আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ডের কোষাধ্যক্ষ ও ইউপি সদস্য মোঃ ফিরোজ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মস্তফা মৃধা উপজেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের কালাইয়া বন্দরের ফলপট্রির বাসভবনে গিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছেন। ওই ছবিতে আলতাফ মাস্টার, আব্দুল ছালাম, শাহজাহান মাতব্বর, সহ বিএনপির বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা রয়েছে।
ছবিটি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তোলা হয়েছে। এরপর একজন ছবিটি আওয়ামী লীগ নেতাদের চিহ্নিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে , ছবিটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ ছাড়াও আরো কিছু ইউনিয়নে চিহ্নিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী বেশ কয়েকজন নেতাকে বিএনপিতে যোগদানের খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মদনপুরা ইউনিয়ন বিএনপির চন্দ্রপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির একটি কার্যালয় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা শ্রমীক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথি আসন গ্রহণ করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গিয়াস উদ্দিন বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলমের অনুসারি বলে জানা গেছে।
তবে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, গিয়াস উদ্দিন উপজেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শ ধারণ করলে আওয়ামী লীগের নেতাদের যোগদান তো দূর তাদের সাথে সখ্যতা রাখতে পারেন না। এটা তিনি অপরাধ করেছেন।
Leave a Reply