বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

বাউফলের শিশু আছিয়াকে বাঁচাতে দরকার মাত্র আড়াই লাখ টাকা

ফুটফুটে শিশু আছিয়া। বয়স মাত্র ১ বছর ৭মাস। তার হার্টে দুটি ছিদ্র ধরা পড়েছে। তার হার্টের ছিদ্র দুইটি জন্মগত। কিন্তু অর্থাভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছেনা।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস কে এ রাজ্জাক জানিয়েছেন, যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ইতিমধ্যে আয়শার হার্টের ভাল্ব এবং নিউরো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত অপারেশন না করালে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়।

কিন্তু এ অপারেশনের দরকার আড়াই লাখ টাকা। যা আছিয়ার বাবার পক্ষে যোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব। আছিয়ার বাবা খুলনার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রহরীর চাকরি করেন। তার স্বল্প আয়ে তিন সদস্যের সংসার চালানোই কষ্ট কর।

আছিয়াকে বাঁচাতে তাই সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানদের সাহায্য কামনা করেছেন বাবা ফয়জুল ইসলাম ও মা লিয়া আক্তার। আছিয়ার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নে।

আছিয়ার বাবা ফয়জুল ইসলাম জানান, আছিয়ার জ্বর, ঠান্ডা,কাশি লেগেই থাকতো। স্থানীয় চিকিৎসকরা ওষুধ দিলেও রোগ ভালো হতো না। ডাঃ সৌরভ তাকে পরামর্শ দেন ঢাকায় নিয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য। এরপর তিনি মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যান। আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর রাজ্জাক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান তার মেয়ের হার্টে দুটি ছিদ্র রয়েছে। তখন কিছু ঔষধ দিয়েছিল আর বলেছিলো ২ মাস পর পর পরীক্ষা করে দেখাতে হবে ও চার বছর পূর্ণ হলে অপারেশন করতে হবে। এ খরচ ব্যয়বহুল হওয়াতে ২ মাস পর পর চিকিৎসা করাতে পরিনি তিনি।

সর্বশেষ ধারদেনা করে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে জানতে পারেন ছিদ্র দুটি বড় হয়ে গেছে। হার্টের ভাল্ব এবং ভেইনে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। না হয় তাকে বাঁচানো যাবেনা। আর এর জন্য প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা। এতো টাকার কথা শুণে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তার মাথায়। কি করবেন ভেবে পারছিলেন না। একপর্যায়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। আছিয়ার বর্তমানে শ্বাস কষ্ট হচ্ছে।

শিশু আছিয়ার প্রতিবেশি ইমাম হোসেন সজিব বলেন,আছিয়া আমার মেয়ের মত। আছিয়ার জন্মগত দুইটি ছিদ্র রয়েছে। আমরা বিভিন্ন চেষ্টা করছি চিকিৎসা টাকার জোগাড় করার জন্য। কিন্তু সম্ভব হয়নি। আছিয়ার চিকিৎসার জন্য তার বাবা-মা সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *