বাউফল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনের পর ৩ বছর অতিবাহিত হলেও একটিও সাংগঠনিক সভা করতে পারেনি । এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ । তিনি বলেন সভা হয়নি এ কথা সঠিক নয়। ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর বাউফল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অপর দিকে গত ২৫ নভেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবরি রিজভি স্বাক্ষরিত এক পত্রে আগামী ৬০ – থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা,পৌর ও ইউনিয়ন কমিটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেও তার প্রভাব পরেনি বাউপজেলা বিএনপিতে।
সূত্র জানায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মিয়াকে আহবায়ক ও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অলিয়ার রহমানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্টি এ কমিটি গঠন করা হলেও তখন কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাউফল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান লিটুকে। অথচ এই তিন নেতা বিএনপিকে জাগ্রত করতে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। অথচ এই সহিদুল আলম তালুকদার আওয়ামী লগের দূর্গে প্রথম আঘাত হানেন এবং বিএনপির জয় ছিনিয়ে আনেন।
এ ঘটনায় বাউফল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিরুদ্ধে সাবেক এমপি সহিদু আলম তালূকদার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর এর নিকট অভিযোগ করলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আহবায়ক কমিটি স্থগিত করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান তদন্ত সাপেক্ষ্যে যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে মোঃ তসলিম তালুকদার, সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন, সদস্য মোঃ তরিকুল ইসলাম মোস্তফা ও সদস্য আলি আজমকে নতুন করে অর্ন্তভুক্ত করলেও সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদার,সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার,কৃষিবিদ মিজানুর রহমান লিটুকে রহস্যজনক কারণে আহবায়ক কমিটিতে অন্তভুক্ত করেননি। ওই কমিটিতে ১ নম্বর সদস্য হিসাবে স্থান দেয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মোঃ মুনির হোসেনকে। অথচ তিনি বাউফলের রাজনীতিতে ওৎপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেননা তার বাবা আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, তার আরেক ভাই মোঃ কামাল হোসেন এখন পটুয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি। এসব তার প্রভাবেই হয়েছে বলে অভিযোগ কর্মী সমর্থকদের।
আহবায়ক কমিটি গঠনের কয়েক দিন পর আহবায়ক শাহাজাদা মিয়া ও সদস্য সচিব অলিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার কারণে তাদের দুইজনকে সরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু একই সময় আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আপেল মাহমুদ ফিরোজের অর্থ লেনদেনের কল রেকর্ড ফাঁস হলেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। যার কাছে আপেল ফিরোজ অর্থ দাবি করেন তার নাম সাইফুল ইসলাম । তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তিনি এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং আপেল মাহমুদ ফিরোজকে পদোন্নতি দিয়ে সদস্য সচিব করেন এবং অপর যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জব্বারকে আহবায়ক করা হয়। এনিয়ে নিয়ে শুরু হয় বিএনপির মধ্যে অসন্তোষ। তাদের নেতৃত্বে এই আহবায়ক কমিটির মেয়াদ মাত্র ৩ বছর ৫ দিন, অতিবাহিত হলেও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও বাউফল বিএনপিতে কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।
এদিকে বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটিতে যাদেরকে পদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন, দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলি আজম, বাউফল সদর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ফারুক গাজী, কালিশুরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রায়হান জব্বার,ধুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা এলাকায় থাকেননা। তারা অধিকাংশ সময় স্বপরিবারের ঢাকায় থাকেন। ধুলিয়া ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম হলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল জব্বার মৃধার ছোট ভাই।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আঃ জব্বার মৃধা দীর্ঘ দিন প্রবাসে ছিলেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার একএম ফারুক আহমেদের হাত ধরে বিএনপিতে আসেন। আব্দুর জব্বার মৃধার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অমান্য করে ২০১৬ সালে দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম বাশারের পক্ষে ব্যানারসহ নৌকার মিছিল করেন। এ ছাড়াও তিনি বগা ইউনিয়ন বিএনপির একটি সমাবেশে বলেন, “আগস্ট মাস শোকের মাস”। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদারকে নিয়ে ফেইসবুকে একাধিক পোষ্ট করেন এই জব্বার মৃধা। ওই সময় জেলা আওয়ামী লগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জুয়েলের সাথে ছিল তার গভীর সম্পর্ক।
আব্দুল জব্বার মৃধা ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ১১ মাস সকল দলীয় কার্যক্রমে অনুপস্থিত ছিলেন। দলের কার্ক্রমে তার এই অনুপস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বিভাগীয় স্কাইপি মিটিংয়ে জব্বার মৃধার রাজনীতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দলের দুঃসময়ে কোন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন না। তিনি ছিলেন চিল্লায়। পরবর্তীতে তিনি সৌদি আরব যান এবং প্রকাশ্যে রাজনীতি থেকে নিজেকে বিদায়ের ঘোষনা দেন। ” রাজনীতি আর ধর্ম- কর্ম একনয়, দ্বীনের কাজ আর দুনিয়ার কাজ একসাথে হয়না” তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তখন ভাইরাল হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আবার প্রকাশ্যে রাজনীতি করার ঘোষণা দেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজের বিরুদ্ধে জেলা ওে বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা আহবায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে ২৭ টি অভিযোগ জমা হয়েছে । যার ১৮ টি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ। আপেল ফিরোজ আওয়ামী লীগের সময় বিলবিলাস বাজারে লোকসম্মুক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর পা ধরে সালাম করেন। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আক্তার নিসু ও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান লাবু বিশ্বাসের প্রার্থীতা ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকেন। এ ছাড়াও সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ শহরের বকুলতলা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ মার্চ একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। যা দলীয় নেতাকর্রা মেনে নিতে পারেননি। তাকে আওয়ামী লগের দোষর মনে করছেন তারা। একজন বিএনপির নেতা হয়ে ৭ মার্চের একটি অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবের প্রসংশা করে বক্তব্য দিয়েছেন।
এ ছাড়াও তিনি চলতি বছর ১৭ ই আগস্ট বাউফল আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খান ও ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে অফিস করার ব্যাবস্থা করে দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। আনিছুর রহমান ভিডিও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অবশ্য পরে আনিছুর রহমান আরেকটি ভিডিওতে টাকা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে তাকে এ কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে লক্ষাধিক মামলায় ৫০ লক্ষাধিক আসামি হলেও এই ফিরোজের নামে আজ পর্যন্ত একটি মামলাও হয়নি।আপেল মাহমুদ ফিরোজ ২০২৩ সালের ৩ মার্চ কাছিপাড়া ইউনিয়নে মৎস্যজীবি দলের এক প্রোগ্রামে শেখ মুজিবের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
কালিশুরি ইউনিয়ন বিএনপির আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের সভাপতি রায়হান জব্বারের ইন্দোনে কালিশুরি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দলিল উদ্দিন ধলুকে গঠনতন্ত্র অমান্য করে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। অথচ সূর্যমনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জমাদ্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে ফারুক হোসেন নামের এক যুবদলের সদস্য ব্যাপক মারধর করেন। কিন্তু মাহাবুব জোমাদ্দারের এ ঘটনায় বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনি ব্যাবস্থা নেয়া নাই।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক তসলিম তালুকদার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আনিসুর রহমান ২০২২ সালে ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন। মেহাসচিব অভিযোগ তদন্তের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সে অনুযায়ি ২০২৩ সালের ৫ মার্চ পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয় তদন্ত প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অভিযোগকারীরা তথ্য- প্রমান উপাস্থাপন করলেও আজও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।
বাউফলে বিএনপির মধ্যে একাধিক গ্রুপিং থাকায় কর্মী সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে পরেছেন। বিশেষ করে এ গ্রুপিং এর কারণে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্নের পর লুটপাট ও ভাংচুরেরমত ঘটনা বেশী ঘটেছে। এ কারণে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বর্মানে বিএনপিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির এক যুগ্ম আহবায়ক বলেন, আহবায়ক কমিটি গঠনের পর তিন বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত একটা সভা করতে পারেনি। তারা দলীয় কর্ম কান্ড রেখে এখনও পকেট ভাড়ি করার কাজে ব্যস্থ রয়েছেন । এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। তিনি তারেক রহমানের নির্দেশ, অনুযায়ি দলকে সুসংগঠিত করার কাজে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। দলের দুঃসময়ের ত্যাগী, নির্যাতিত, রাজপথের পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন করার অনুরোধ জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, আমি পদের প্রভাব দেখিয়ে কারো কাছ থেকে কোন অনৈতিক সুবিধা নিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো। কালিশুরী ইউনিয়ন বিএনপির একটি প্রোগ্রামে আমি বলেছি শেখ মুজিবুর রহমান ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে তার মেয়ে শেখ হাসিনা ভাত ও ভোটের অধিকার হরণ দেশে একদলীয় সাশন ব্যবস্থা চালু করার পায়তারা চালাচ্ছেন। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করে আমি কোন বক্তব্য দেইনি। স্থানীয় বকুলতলা মডেল সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ৭ মার্চের একটি অনুষ্ঠানে ওই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসাবে উপস্থিত থাকলেও আমি কোন বক্তব্য দেইনি। যুবদল নেতার সাথে তার কথোপকথনের যে অডিও প্রকাশ করা হয়েছে সেটা এডিটিং করে প্রচার করা হয়েছে। আমি তাকে কোন পদ দেয়ার নামে টাকা দাবি করিনি। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করার কোন প্রশ্নই আসেনা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল জব্বার বলেন, আমি চিল্লায় যাওয়ার কারণে ১১ মাস রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে না পারলেও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে ফোনে নির্দেশনা দিয়েছি। আমি যখন সোনারগাও চিল্লায় ছিলাম সেখান থেকে ঢাকার বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছি। বগা ইউনিয়ন বিএনপির আমি বলেছি আগস্ট মাস শোকের মাস। অনুষ্ঠানে হামলার ভয়ে কৌশলগত কারণে আমি এ বক্তব্য দিয়েছি।
জেলা আওয়ামী লগের যুগ্ম মাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর সভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের বাবার দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠানে একজন ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে আমন্ত্রন পেয়ে আমি যোগদান করেছি। সেখানে আমি রাজনৈতিক নেতা হিসাবে বক্তব্য দেইনি। ২০১৬ সালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম বাশারের পক্ষে ব্যানারসহ নৌকার মিছিল অংশ নিয়েছি এর ব্যাখা আমি বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন আপাকে দিয়েছি।
জনকন্ঠ
Leave a Reply