বাউফল উপজেলায় ১০ মিনিটের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কাঁচাপাকা ঘর বিধ্বস্ত ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঝড় শুরু হয় এবং ১০ মিনিট সময় ধরে তাণ্ডব চালায়।
জানা গেছে, ঝড়ে নাজিরপুর ধানদি কামিল মাদ্রাসার একটি টিনশেড ভবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সড়ক ও ঘরবাড়ির ওপর গাছপালা উপড়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা গাছ কেটে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। শুক্রবার রাত থেকে উপজেলার সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। নওমালা ইউনিয়নে বসতঘরে গাছ পড়ে গুরুতর আহত হন সমির শীল ও সাথী শীল নামে দুজন।
পটুয়াখালীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মজিবুর রহমান বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে ৮টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক স্থানে সঞ্চালনের তার ছিঁড়ে পড়েছে। আমাদের কয়েকটি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। বিদ্যুৎ লাইন চালু হতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঝড়ে বিধ্বস্ত তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply