বাউফল প্রতিদিন ডট কম

বাউফলের কথা বলে

বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ, ভাইস চেয়ারম্যানকে তুলে নিয়ে নির্যাতন

উপজেলা চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান (বামে), ভাইসচেয়ারম্যান আনিছুর রহমান (ডানে)

বাউফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোসারেফ হোসেন খানকে তার পরিষদের সরকারি বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে বিএনপির এক সাবেক নেতার বাসভবনে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং তার কাছ থেকে একটি স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। ওই স্বীকারোক্তিটি ভিডিও করা হয়।

একটি সূত্র জানায়, ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান স্বীকারোক্তিতে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মু.মুনির হোসেন ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আপেল ফিরোজ উপজেলা চেয়ারম্যান ও তাকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে অফিস করার সুযোগ দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা দুইজন বাউফলে আসেন। তাকে ধরে নেয়ার ৬ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানেন মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, ‘বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ভাইসচেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে তার অনুসারিরা পরিষদের সরকারী বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে আটকে রেখে শরীরিক নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মু. মনির হোসেন ও আমার সম্পর্কে একটি মিথ্যা বক্তব্য রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। পরে তাকে ছেড়ে দেয়।’

এ ব্যাপারে বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদার বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে আমার বাসায় তুলে এনে নির্যাতন করে কোন বক্তব্য রেকর্ড করা হয়নি। এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি কিংবা আমার কোন অনুসারিরা জড়িত নয়। বরং উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ তাদেরকে আশ্বস্থ করে বাউফলে এসে বিপদে ফেলেছেন। এ দায় তার, আমার নয়।’

উপজেলা চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি বর্তমানে আমার সরকারী বাসভবনে অবরুদ্ধ অবস্থা আছি। পরিষদে অফিস করা জন্য এসেছিলাম। আমাকে অবরুদ্ধ করার পর আমাকে উদ্ধার করে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার জন্য, উপজেলা প্রশাসন, থানা, সোবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাসহ সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু তারা কেউই এগিয়ে আসেনি। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যেকোন সময় আমার জীবনহানী হতে পারে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *